মাছ চাষে শীতকালীন পরিচর্যা / Fish Farming during winter season from disease point of view.
আমরা সকলেই জানি যে শীতকালে মাছ সব থেকে বেশি রোগাক্রান্ত হয় বিশেষ করে ক্যাটফিস (cat fish) জাতীয় মাছ, এর কারন হল শীতকালে তাপমাত্রা কমে যায় আর তার ফলে মাছ খাদ্য গ্রহন বন্ধ করে দেয়, এর জন্য মাছের শরীরে সঞ্চিত চর্বি ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করে, মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমে যায়। এছাড়াও শীত কালে রোদ কম সময় থাকে বা প্রায় সময় রোদ উঠে না এতে করে পুকুরে অক্সিজেন এর পরিমান কমে অ্যামোনিয়া (ammonia) বৃদ্ধি পায়, এর ফলেও মাছ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা-
মূলত দেশী মাগুর, পাবদা, কার্প মিশ্র চাষে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে প্রতি ২০ দিন পর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হয়, যেমন –
১। প্রতি ২০ দিন পর পর জীবানু নাশক দেওয়া হয়, প্রথম ২০ দিনে টেরামাইসিন দিলে তার পরের ২০ দিনে পটাশ দেওয়া হয়, এই ভাবে পরিবর্তন করা হয়।
২। জীবানু নাশক প্রতি ৪-৫ ফুট গভীরতার জন্য ১-২ গ্রাম, এবং পটাশ ৫ গ্রাম হারে প্রয়োগ করা হয়। ৩। পাথরে চুন ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ভাল ভাবে জলে গুলে সারা পুকুরে ছিটিয়ে দেওয়া হয়, প্রতি ৫-৬ ফুট জলের জন্য ৩০০গ্রাম হারে, পি এইস (pH) বেশি থাকলে চুন দেওয়া যাবে না, কম থাকলে বেশি দেওয়া যেতে পারে।

৪। প্রতি ২-৩-৭ দিন পর পর ৩-১২ ঘন্টা গভীর নল কুপের জল দেওয়া হয়, এতে করে পুকুরের জলের তাপ মাত্রা ঠিক থাকে আর মাছ খাবার গ্রহন করে ভাল।
৫। প্রতি ৭ দিনে ১ দিন ভিটামিন সি (Vitamin C) প্রতি কেজি খাবারের সাথে ৩ গ্রাম হারে ভাল ভাবে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হয়, এতে মাছের রুচি বাড়ে খাবার হজম হয় ভাল, আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৬। খাবার খাওয়ার পর ৩ ঘন্টা এয়ারেশন (airation) দেওয়া যেতে পারে, এতে অক্সিজেন স্বল্পতা থাকলে তা ঠিক হয়ে যাবে, খাবার হজম করতে সাহায্য করবে।
৭। শীতের শুরুতে চান্দা মারার বিষ এবং উকুন নাশক দিতে হবে এবং শীতের শেষের দিকেও উকুন নাশক দিতে হবে।
৮। পুকুরের তল দেশে কাদা বা গাছের পাতা বেশি থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে, কাদা বেশি হলে অ্যামোনিয়া বেড়ে যাবে, অ্যামোনিয়া গুলসা এবং শিঙি মাছের ক্ষত রোগ বা ভাইরাসের কারন, তাই প্রতি মাসে কাদাযুক্ত পুকুরে এই কাজ নিয়মিত করতে হবে।
৯। মাছের খাবার শীতেও বন্ধ করা যাবে না কম খাক বা বেশি যত টুকু খায় ততটুই দিতে হবে, কিন্তু মাত্র ১ বার, দিনে হলে দুপুর ১২-১ টার মধ্যে আর রাতে হলে সূর্য ডুবার সাথে সাথে বা তার একটু পরেও দেওয়া যেতে পারে, শীত কালে ডুবে যাওয়া খাবার না দেওয়াই ভাল।
১০। শীত কালে সব ধরনের রাসায়নিক সার দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। [সংগৃহীত]
মাছ চাষের শীতকালীন পরিচর্যা সম্পর্কে পড়ে আশাকরি কিছুটা উপকৃত হলেন। তবে এই ওয়েবসাইটটিতে ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করা আছে। শুধু আপনাকে আপনার ব্যবসার নাম, জায়গা, কি কি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আছে, সাথে একটা ছবি দিয়ে পাবলিশ করতে হবে ও সাথে সাথে নিজের ইমেইল আইডি খুলে যে লিংক পাবেন সেখানে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিতে হবে। অ্যাকাউন্ট বানালে ভবিষ্যতে আপনি আপডেট করতে পারবেন।
যারা প্রাইভেট টিউটর, ইনসুরেন্স প্রদানকারী, অ্যাডভোকেট অর্থাৎ ব্যক্তি কেন্দ্রীক ব্যবসা, তারাও নিজের সম্পর্কে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।